রান্নাঘর নতুন করে সাজান: গভীর রাতে উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধখাবার খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে রান্নাঘরের সাজসজ্জায় একটু পরিবর্তন আনুন। ক্যালরি বহুল খাবারের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- গাজর বা অন্যান্য সবজি হাতের কাছে রাখুন। মিষ্টিজাতীয় খাবার, বিস্কুট বা চকলেট অস্বচ্ছ পাত্রে রাখার চেষ্টা করুন।
রান্নাঘরের কাপবোর্ড সাজানোর ক্ষেত্রে ছোট প্লেটগুলো হাতের সামনে রাখুন। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে ছোট প্লেটে খাবার খাওয়া হলে কম খাবার খাওয়া হয়।linkhttps://mayablog59.blogspot.com hate
সুষম খাবার নিশ্চিত করুন: খাদ্যাভ্যাস উন্নত করার কথা আসলে অবশ্যই সুষম খাবার নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত ফল ও সবজি খেতে হবে এবং দিনে কমপক্ষে পাঁচবার। প্রতিবেলার খাবারের একটা অংশ হিসেবে এদের উপস্থিতি নিশ্চিত করুন, যেমন- সকালের নাস্তার কলা, কিছু সবুজ সবজি, পালংশাক অথবা দুপুরের খাবারে শতমূলী এবং রাতের খাবারের অর্ধেক যেন সবজি থাকে সে দিকে খেয়াল রাখুন।
খাদ্যতালিকায় আঁশযুক্ত খাবার যোগ করুন। যেমন- খোসাসহ আলু। আঁশযুক্ত খাবার যেন শষ্যজাতীয় হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। এতে অন্যকিছুর তুলনায় বেশি পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান থাকে।
পর্যাপ্ত পানি পান: পানি পানের অভ্যাস করতেই হবে। প্রথমত, পানি শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে, রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখে এবং কোষের আর্দ্রতা রক্ষা করে তার কার্যকারিতা নিশ্চিত করে।
খাদ্য তালিকা থেকে চিনি বাদ দিন: খাদ্যতালিকা উন্নত করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল চিনি বাদ দেওয়া। যখন অনেক বেশি ক্লান্ত অনুভব করবেন তখন শর্করা সমৃদ্ধ খাবার খান। এটা শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করতে সাহায্য করে। সত্যি বলতে, চিনি শরীরের জন্য খুব একটা উপকারী নয়। শরীরকে প্রক্রিয়াজাত চিনি থেকে বিরত রাখার একটা ভালো উপায় হল প্রথম কয়েকদিন সম্পূর্ণ ডেটক্স চিনি খান, এটা শরীরে মানিয়ে গেলে পরবর্তীতে ধীরে ধীরে অপরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া শুরু করুন।
যদি খুব বেশি খাদ্যের চাহিদা অনুভব করেন তাহলে নাস্তা হিসেবে বাদাম বা বীজজাতীয় খাবার খান। এগুলো স্বাস্থ্যকর পুষ্টি উপাদান ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। আর দীর্ঘক্ষণ আপনাকে ভরপুর রাখতে সাহায্য করে।
চাইলে স্বাদের পরিবর্তন ঘটাতে পারেন, যেমন- পুডিংয়ে মধুর পরিবর্তে দারুচিনি ব্যবহার করতে পারেন।