সেতু উদ্বোধনের আগেই দর্শনার্থীর ভিড়
বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসব থেকে বাদ যাবে না মৌলভীবাজারবাসী। দিনটি উৎসবমুখর রাখতে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে র্যালি, আলোচনা সভা, ত্রাণ বিতরণসহ আরও অনেক কিছু।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে শনিবার দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যে সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বের হবে র্যালি। পরে সকাল ১০টায় পদ্মা সেতু উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান সরাসরি প্রদর্শন ও বেলা ১১টায় ঘুড়ি উড়িয়ে আনন্দ উদযাপন।
এছাড়াও রয়েছে কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ইতিপূর্বে সম্পন্ন হওয়া ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা ও 'স্বপ্নের পদ্মা সেতু' বিষয়ক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভা।
এছাড়া বিকাল ৩টায় দুর্গত মানুষের মাঝে বিশেষ ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি।
এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।
এদিকে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে জেলা তথ্য অফিস মৌলভীবাজারের ব্যবস্থাপনায় রেলগেট শ্রীমঙ্গল, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় মৌলভীবাজার, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ মৌলভীবাজার ও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামের সামনে মোট ৪টি পিভিসি ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করা হয়।
https://mayablog59.blogspot.com
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে নির্মাণাধীন একটি সেতু। এই সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযােগ ঘটাবে। এই সেতুকে কেন্দ্র করে মনে মনে স্বপ্ন বুনছে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ। সকলের
আশা এই পদ্মা সেতু বদলে দেবে দেশের অর্থনীতি; উন্নত হবে মানুষের জীবনযাত্রা । স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় এই প্রকল্প খুলে দেবে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার।
পৃথিবীর বৃহত্তম সড়ক সেতুগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে বাস্তবায়নাধীন পদ্মা সেতুর অবস্থান ২৫তম বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে নদীর ওপর নির্মিত সব সেতুর মধ্যে দৈর্ঘ্যের দিক থেকে পদ্মা সেতুর অবস্থান প্রথম। সেতুর ফাউন্ডেশনের গভীরতার দিক থেকেও এর অবস্থান প্রথম।
সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
ঢাকা
থেকে
ভাঙ্গা
পর্যন্ত
চার
লেনের
কাজ
করবে
সেনাবাহিনী
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে মাওয়ায় পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ পর্যন্ত এবং পদ্মা সেতুর অপরপ্রান্তের অ্যাপ্রোচের শেষ প্রান্ত হতে ভাঙ্গা পর্যন্ত মোট ৫৫ কিলোমিটার মহাসড়ক
চার লেনে উন্নীত করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রায়
পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছে। এ প্রকল্পটির কাজ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী করবে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন
চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার বৈঠকের শুরুতেই প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন